JonopriyoblogPostAd

পুরুষাঙ্গে জ্বালাপোড়া কেন হয় - পুরুষের প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হলে করণীয়

পুরুষাঙ্গে জ্বালাপোড়া কেন হয় পুরুষের প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হলে করণীয় কি এ বিষয়ে সচরাচর অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন কারণ অনেকের প্রস্রাবে জ্বালাপোড়ার সমস্যা রয়েছে।তবে এগুলো সমস্যা কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চললে সমাধান হয়ে যায়। 
পুরুষাঙ্গে জ্বালাপোড়া কেন হয়

তাহলে চলুন আজকের এই আর্টিকেল থেকে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক পুরুষাঙ্গে জ্বালাপোড়া কেন হয় এবং পুরুষের প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হলে করণীয় কি এই সম্পর্কে। 

সূচিপত্রঃ পুরুষাঙ্গে জ্বালাপোড়া কেন হয় - পুরুষের প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হলে করণীয়

পুরুষাঙ্গে জ্বালাপোড়া কেন হয় - পুরুষের প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া কেন হয়

প্রসাব করার পরে অনেকের পুরুষাঙ্গে জ্বালাপোড়া হয়ে থাকে। কিন্তু কোন কারণে এই জ্বালাপোড়া হয় তা আমরা বুঝতে পারি না কিন্তু পুরুষাঙ্গে জ্বালাপোড়ার কিছু কারণ রয়েছে এইগুলো কারণ এর জন্য প্রসাব করার পরে পুরুষাঙ্গের জ্বালাপোড়া হয়ে থাকে। পুরুষাঙ্গে জ্বালাপোড়ার কিছু কারণ হলোঃ 

  • ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ 
  • অধিক সময় অতিরিক্ত সে*ক্স করা
  • শক্ত কাপড় বা তোয়ালে দিয়ে লিঙ্গ মুছলে
  • খুব জোরে জোরে একাধিকবার হস্তমৈথুন করলে
  • সহবাসে লুব্রিকেট ব্যবহার না করলে
  • অতিরিক্ত টাইট প্যান্ট পরে থাকলে
  • যেকোনো যৌন রোগ থাকলে
  • কিডনিতে পাথর হলে
  • পানি কম খাওয়ার ফলেও প্রসাবে জ্বালাপোড়া হয়
  • এলার্জি জনিত কারণে 
  • মুত্রনালীর সংক্রমন বা মুত্রথলির সংক্রমণ 

আরো পড়ুন: অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হলে কি সমস্যা হয় - অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তির ১২ টি উপায়

এইগুলো কারণে পুরুষাঙ্গে জ্বালাপোড়া করে। কারো যদি প্রতিনিয়ত পুরুষাঙ্গে জ্বালাপোড়া করে তাহলে অবহেলা না করে চিকিৎসক এর পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিবেন। 

প্রসাবে জ্বালাপোড়া কিসের লক্ষণ

প্রসাবে জ্বালাপোড়া বিভিন্ন রোগের লক্ষণ হতে পারে যেমন আপনার মূত্রনালীতে থাকতে পারে অথবা মূত্রথলির সংক্রমণ হতে পারে। এছাড়াও প্রসাবে জ্বালাপোড়া করা কিডনিতে পাথরের লক্ষণ হতে পারে। প্রসাবে জ্বালাপোড়া করা যৌন রোগের লক্ষণ হতে পারে। 

প্রসাব করার পরে যখন আপনার পুরুষ জ্বালাপোড়া করবে তখন বুঝতে হবে এই সকল রোগ হওয়ার লক্ষণ বা সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পুরুষাঙ্গে জ্বালাপোড়ার কিছু লক্ষণ রয়েছে সেগুলো আগে জেনে রাখুন। 

  • ঘন ঘন প্রসাবের চাপ আসা
  • প্রসাব এর সাথে রক্ত বের হওয়া
  • গন্ধযুক্ত হলুদ প্রসাব হওয়া
  • হঠাৎ করে প্রসাবের বেগ আসা কিন্তু বেশি প্রসাব না হওয়া
  • শরীর অতিরিক্ত কান্তি লাগা
  • পাজরে প্রচন্ড ব্যথা হওয়া।
  • খাবারের রুচি কমে যাওয়া 
  • বমি বমি ভা

পুরুষের প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হলে করণীয়

প্রসাবের পরে জ্বালাপোড়া করার সমস্যা অনেকেরই রয়েছে। কিন্তু অনেকে লজ্জায় চিকিৎসকের কাছে যেতে পারে না এবং এ বিষয়ে বলতে পারেনা তাই ইন্টারনেটে সার্চ করে থাকে পুরুষের প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হলে করণীয় কি? যদি প্রসাবের পরে জ্বালাপোড়া হয় তাহলে কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে সেগুলো ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি পেতে পারেন। পুরুষের প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হলে করণীয় উপায় গুলো হলোঃ 

পুরুষের প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হলে করণীয়

  • বেশি বেশি পানি পান করুন
  • দই খেতে পারেন
  • সবুজ শাকসবজি খাবেন
  • গরম চা পান করুন
  • লেবু পানি পান করুন
  • ডাবের পানি পান করুন
  • শসার জুস পান করুন
  • আখের রস

বেশি বেশি পানি পান করুন

প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া বেশিরভাগ সময় হয়ে থাকে পানি শূন্যতার কারণে। তাই আমরা যদি প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়ে থাকে তাহলে বেশি বেশি পানি পান করার চেষ্টা করুন এতে করে পানি শূন্যতা দূর হবে এবং প্রসাব ক্লিয়ার হবে এতে করে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া দূর হয়ে যাবে। 

দই খেতে পারেন

দই ঠান্ডা হয়ে থাকে এবং দই এর মধ্যে রয়েছে শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া। যেটা শরীরের খারাপ ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়া দই খাওয়ার ফলে শরীরের পিএইচ ভারসাম্য ঠিক থাকে এতে করে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া সমস্যা দূর হয়ে যায়। 

আরো পড়ুন: কোমর ব্যথা সারানোর উপায় - কোমরের ব্যথা কমানোর ট্যাবলেট

সবুজ শাকসবজি খাবেন

প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হলে অতিরিক্ত তেল জাতীয় এবং মসলা জাতীয় খাবার না খেয়ে বেশি বেশি সবুজ শাকসবজি খেতে হবে। কারণ সবুজ শাক সবজির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন। এছাড়াও সবুজ শাকসবজি শরীরকে ঠান্ডা রাখে পানির চাহিদা পূরণ করে তাই বেশি বেশি সবুজ শাকসবজি খেলে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া দূর হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। 

গরম চা পান করুন

ইউরিন ইনফেকশনের কারণে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়ে থাকে তাই গরম চা পান করলে এই ইউরিন ইনফেকশন দূর হয়ে যায়। এছাড়াও কোন নরম কাপড় দিয়ে গরম সেঁক দিলে ব্যথা কমে যায় এবং প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া করার সমস্যা কমে যায়। 

লেবু পানি পান করুন

লেবুর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আপনার যদি প্রস্রাবে জ্বালাপোড়ার সমস্যা থেকে থাকে তাহলে পানি হালকা পরিমাণ গরম করে নিবেন এবং তার মধ্যে হালকা পরিমাণ লেবুর রস মিশাবেন তারপরে সেগুলো লেবু পানি পান করবেন তাহলে দেখবেন প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া কমে গেছে। এটা নিয়মিত পান করলে বিভিন্ন রকম সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। 

ডাবের পানি পান করুন

প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া করে যখন শরীর অতিরিক্ত কড়া হয়ে যায়। সেজন্য ডাবের পানি পান করার মাধ্যমে শরীর ঠান্ডা রাখতে পারেন এবং পানি শূন্যতা পূরণ করতে পারেন। পানি শূন্যতা পূরণ হলে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া দূর হয়ে যাবে। অনেকের হয়তো খালি পানি খেতে ভালো লাগেনা তারা বেশি বেশি ডাবের পানি খেতে পারে। 

শসার জুস পান করুন

শসার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পানি আর প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া কমানোর জন্য পানির চাহিদা অপরিসীম। শসার জুস পান করলে শরীর ঠান্ডা থাকে এবং প্রস্রাবে জ্বালাপোড়ার সমস্যা থাকলে সেই সমস্যা তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যায়। 

আখের রস

শরীরকে ঠান্ডা রাখতে আখের রস অনেক উপকারী। আপনার যদি প্রস্রাবে জ্বালাপোড়ার সমস্যা থেকে থাকে তাহলে বেশি বেশি আখের রস পান করতে পারেন এটা প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া ভালো করার জন্য অনেক কার্যকরী একটি উপায়। 

আশা করছি আপনি যদি এগুলো ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে পারেন তাহলে আপনার প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া করার সমস্যা দূর হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। তারপরেও যদি দেখেন কোন রকম প্রতিকার হচ্ছেনা তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। 

প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া ঔষধ - পুরুষের প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া ঔষধ

একজন পুরুষ এবং মহিলা বিভিন্ন কারণে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়ে থাকে। সেজন্য কোন কারণে প্রসাবে জ্বালাপোড়া হচ্ছে সেটা নির্ণয় না করে কোন রকম ঔষধ সেবন করা যাবে না। আর প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া কমানোর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধের নাম বলা যাবে না। 

আরো পড়ুন: যোনিতে চুলকানি হলে দূর করার ১১ টি ঘরোয়া উপায় - যোনিতে চুলকানি দূর করার ক্রিমের নাম 

তবে ঔষধ না খেয়ে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া ভালো করতে পারিনি এজন্য আপনাকে প্রতিদিন বেশি বেশি পানি পান করতে হবে, যদি প্রসাব চাপে তাহলে তা আটকে রাখা যাবে না। এছাড়া কিছু অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ পেয়ে যাবেন সেগুলো সেবন করতে পারেন।এন্টিবায়োটিক ঔষধ গুলো হলোঃ 

  • Bioclavid 625 mg
  • Furotil 500 mg
  • Amotid CL 625 mg
  • Clavoxil 625 mg
  • Amoxiclav 375 mg
  • Avloclav 625 mg 
বিশেষ দ্রষ্টব্য: একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনোই এগুলো ঔষধ সেবন করবেন না। 

আমাদের শেষ কথা 

প্রিয় বন্ধুরা আশা করছি আজকের আর্টিকেল থেকে আপনারা জানতে পেরেছেন পুরুষাঙ্গে জ্বালাপোড়া কেন হয় পুরুষের প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হলে করণীয় কি এই বিষয় সহ এ সম্পর্কিত আরো বেশ কিছু বিষয়ে। আশা করছি এখন থেকে আপনাদের প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হলে এগুলো ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া ভালো করতে পারবেন। 

তার পরেও যদি আপনাদের এই বিষয়ে আরো কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে কমেন্টে লিখে আমাদের জানাতে পারেন। তাহলে আমরা আপনাকে সেটা সঠিক পরামর্শ দিব। এবং এরকম আরো বিভিন্ন বিষয় জানতে আমাদের JONOPRIYO BLOG ওয়েবসাইট ঘুরে দেখতে পারেন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন