JonopriyoblogPostAd

মোবাইল আসক্তি থেকে মুক্তির উপায় - মোবাইল আসক্তির কুফল

প্রিয় বন্ধুরা আজকে আপনাদের জানাবো মোবাইল আসক্তি থেকে মুক্তির উপায় এবং মোবাইল আসক্তির কুফল সম্পর্কে। আপনি যদি মোবাইল ব্যবহারে আসক্ত থাকেন তাহলে আপনার জানা উচিত মোবাইল আসক্তি থেকে মুক্তির উপায়। কারণ অতিরিক্ত মোবাইল আসক্তি নিজের জন্য অনেক ক্ষতিকর।তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক মোবাইল আসক্তি থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত।
মোবাইল আসক্তি থেকে মুক্তির উপায়

মোবাইল আসক্তির কারণ মোবাইল আসক্তি থেকে মুক্তির উপায় মোবাইল আসক্তির কুফল এই সকল বিষয় সহ এ সম্পর্কিত আরো কিছু বিষয়ে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে। সেজন্য আপনি যদি এ সকল বিষয়ে জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ মোবাইল আসক্তি থেকে মুক্তির উপায় - মোবাইল আসক্তির কুফল 

মোবাইল আসক্তির কারণ 

বর্তমানে শিশু এবং কিশোরদের মধ্যে মোবাইল আসক্তি অনেকটা বৃদ্ধি পেয়ে গেছে। যা অনেক ক্ষতির কারণ।বর্তমানে মোবাইল আসক্তির অনেকগুলো কারণ রয়েছে তার মধ্যে কিছু কারণ হলো এখনকার অনেক বাবা-মা তাদের সন্তানকে অনেক কম বয়সেই মোবাইল ফোন কিনে দেয় এতে করে তারা মোবাইল ফোনে বিভিন্ন রকম গেম খেলে এবং ভিডিও দেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। আর এগুলো করতে করতে এক সময় তারা মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে যায়।

আর এখন বেশিরভাগ ছেলে মেয়ে খেলাধুলা বাদ দিয়ে মোবাইল নিয়ে থাকে সবসময়। বাইরে গিয়ে খেলাধুলা না করতে পেরে তারা সব সময় মোবাইল নিয়ে থাকে এতে করে মোবাইলের প্রতি আসক্ত বেড়ে যায় এবং তা থেকে আর বের হতে পারে না। মোবাইল আসক্তি আরো কারণ হলো বর্তমানে অনেক মায়েরা আছে যারা সন্তানদের বিনোদন দেওয়ার জন্য মোবাইল ফোন দিয়ে রাখে এতে করে তারা একসময় মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে যায়। 

আরো পড়ুনঃ বাতের ব্যথা কমানোর উপায় - বাতের ঔষধের নাম 

সেজন্য কখনোই বাচ্চাদের বিনোদন হিসেবে বা যেকোনো কারণেই হোক মোবাইল দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন।তাদেরকে মোবাইল না দিয়ে অন্য যেগুলো খেলনা রয়েছে সেগুলো দেন তাহলে তারা আর এই মোবাইল আসক্তির মধ্যে পারবেনা। আবার অনেক বাবা মা রয়েছে যারা সন্তানদের প্রতি তেমন খেয়াল রাখে না এবং তাদের থেকে কোন কাজ করে নেয় না সেজন্য তারা সবসময় বসে থাকে এবং মোবাইল নিয়ে থাকে আর এতে করে তাদের মোবাইলের উপর আসক্তি চলে আসে। সেজন্য সব সময় শুয়ে বসে থাকা যাবে না। হালকা পাতলা কাজ করতে হবে।

মোবাইল আসক্তি থেকে মুক্তির উপায় 

অতিরিক্ত মোবাইল আসক্তি একটি মারাত্মক সমস্যা যার ফলে বিভিন্ন রকম ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। সেজন্য আপনারা যারা মোবাইলের প্রতি অত্যাধিক আকর্ষিত হয়ে গেছেন তাদের জানা প্রয়োজন মোবাইল আসক্তি থেকে মুক্তির উপায়। আপনি যদি মোবাইল আসক্তি থেকে মুক্তির উপায় গুলো ভালোভাবে পড়েন তাহলে মোবাইল আসক্তি থেকে বের হয়ে আসতে পারবেন। তো জেনে রাখুন মোবাইল আসক্তি থেকে মুক্তির উপায় গুলো কি কি?

  • বাটন মোবাইল ব্যবহার 
  • নোটিফিকেশন অফ রাখুন
  • মাঠে খেলাধুলা করা
  • বন্ধুদের সাথে আড্ডা
  • মোবাইল ব্যবহারের সময় নির্দিষ্ট করা
  • মোবাইল অফ রাখা
  • মেসেজ বা চ্যাট অপশন অফ রাখা
  • আসক্তিকর অ্যাপস ডিলিট করা
  • হাত ঘড়ি ব্যবহার করা
  • মোবাইল হাতের কাছে না রাখা
  • বিছানায় গিয়ে ফোন হাতে না নেওয়া
  • বিরক্তিকর পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন
  • দৈনন্দিন কোন কাজ করুন

বাটন মোবাইল ব্যবহারঃ মোবাইল আসক্তি থেকে মুক্তির উপায় এর ভেতর সবচেয়ে সেরা উপায় হল বাটন ফোন ব্যবহার করা। কারণ আপনি যদি বাটন মোবাইল ব্যবহার করেন তাহলে এতে করে আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন না। আর আপনি যদি ইন্টারনেট ব্যবহার না করেন তাহলে ইন্টারনেটে  কারো সাথে চ্যাট করতে পারবেন না এবং ইন্টারনেটে ভিডিও দেখতে পারবেন না এতে করে মোবাইলের প্রতি আসক্তি অনেক কম হবে। 

আরো পড়ুনঃ মুখের কালো দাগ দূর করার উপায় - মুখের দাগ দূর করার ক্রিম 

নোটিফিকেশন অফ রাখুনঃ মোবাইল আসক্তি থেকে মুক্তির উপায় এর ভেতর আরো একটি সেরা উপায় হল মোবাইল ফোনের নোটিফিকেশন অফ রাখা কারণ আমরা যখন কোন কাজ করতে লাগি তখন মোবাইল পাশে থাকলে তখন যদি মোবাইলে কোন নোটিফিকেশন আসে তা চেক করতে ইচ্ছে করে। আর একবার মোবাইলে নোটিফিকেশন চেক করতে লাগলে আরো অনেক দিকে নজর পড়বে এবং অনেকক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করা হয়ে যায় সেজন্য নোটিফিকেশন অফ রাখবেন।  

মাঠে খেলাধুলা করাঃ মোবাইল আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রত্যেকদিন মাঠে গিয়ে খেলাধুলা করা প্রয়োজন। কারণ আপনি যখন মাঠে গিয়ে খেলাধুলা না করে বাসায় বসে থাকবেন তখন মোবাইল ব্যবহার করা ছাড়া আপনার আর কোন কাজ থাকবে না। আর এতে করে আপনি মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে যাবেন। সেজন্য মাঠে গিয়ে যদি খেলাধুলা করেন মোবাইল রেখে তাহলে অনেকটা মোবাইলের প্রতি আসক্তি কমবে। 

বন্ধুদের সাথে আড্ডাঃ অনেকে রয়েছে যারা বন্ধুদের সাথে তেমন ঘোরাফেরা করে না এবং আড্ডা দেয় না। এতে করে সব সময় একা বসে থাকে আর যখন একা বসে থাকবে তখন তার হাতে মোবাইল থাকবে। আর মোবাইল থাকলে মোবাইলে বিভিন্ন রকম ভিডিও দেখবে এবং গেম খেলবে এতে করে মোবাইলের প্রতি আসক্তি বেড়ে যাবে সেজন্য মোবাইলের প্রতি আসক্তি কমাতে চাইলে বাহিরে গিয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিন।

মোবাইল ব্যবহারের সময় নির্দিষ্ট করাঃ অনেক রয়েছে যারা সব সময় মোবাইল ব্যবহার করে থাকে এতে করে তারা মোবাইলের প্রতি অনেক আসক্ত হয়ে যায়। কিন্তু আপনি যদি মোবাইলের আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে আপনার মোবাইল ব্যবহারের নির্দিষ্ট সময় বাছাই করতে হবে। এবং প্রতিদিন আপনি কত ঘন্টা মোবাইল ব্যবহার করবেন সেটা ঠিক করতে হবে এবং তার বেশি ব্যবহার করা যাবেনা। আমার মতে প্রতিদিন দুই ঘন্টা মোবাইল ব্যবহার করা উচিত। 

মোবাইল অফ রাখাঃ মোবাইল আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মোবাইল অফ রাখতে পারেন। মোবাইলের অফ রাখলে মোবাইলে কোন নোটিফিকেশন আসবে না এবং বারবার আপনি দেখতেও চাইবেন না সেগুলো এতে করে আপনার মোবাইল আসক্তি অনেকটা কমে যাবে। তবে প্রথম প্রথম হয়তো পারবেন না কিন্তু চেষ্টা করতে হবে। 

মেসেজ বা চ্যাট অপশন অফ রাখাঃ আমরা বিশেষ করে চ্যাটিং করার জন্য মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে যায়। সেজন্য আপনার উচিত হবে চ্যাট অপশন অফ রাখা। যদি আপনার মেসেঞ্জারে কোন গ্রুপ থাকে তাহলে সেগুলো মিউট করে রাখবেন। এতে করে মোবাইল আসক্তি অনেকটা কমবে। 

আসক্তিকর অ্যাপস ডিলিট করাঃ যেগুলো অ্যাপ আপনার মোবাইল আসক্তি অনেকটা বৃদ্ধি করে সেগুলো ডিলিট করে দেওয়ার চেষ্টা করুন। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি মোবাইল আসক্তিকর অ্যাপস হলো ফেসবুক এবং বিভিন্ন রকম গেমস সেজন্য যদি পারেন তাহলে এগুলো ডিলিট করে দিন।  

হাত ঘড়ি ব্যবহার করাঃ আমরা অনেকে টাইম দেখার জন্য মোবাইল ব্যবহার করি কিন্তু অনেক সময় মোবাইলের টাইম দেখতে গিয়ে ঘন্টার পরে ঘন্টা কেটে যায়। সেজন্য আপনি যদি মোবাইল আসক্তি কমাতে চান তাহলে হাতঘড়ি ব্যবহার করার চেষ্টা করুন এতে করে মোবাইলের টাইম দেখার প্রয়োজন পড়বে না এবং মোবাইলের আসক্তি অনেকটা কমে যাবে। 

মোবাইল হাতের কাছে না রাখাঃ আপনার হাতের কাছে যখন মোবাইল থাকবে তখন মোবাইল টিপতে ইচ্ছে করবে সেজন্য মোবাইল আসক্তি যদি কমাতে চান তাহলে মোবাইল হাতের কাছে রাখবেন না। আপনার হাতের কাছে যদি মোবাইল না থাকে তাহলে মোবাইল টিপতে পারবেন না এতে করে মোবাইলের আসক্তি অনেকটা কম হবে। 

আমাদের গুগল নিউজ ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপরে ফলো করুন

বিছানায় গিয়ে ফোন হাতে না নেওয়াঃ মোবাইল আসক্তি থেকে মুক্তির উপায় এর ভেতর আরেকটি উপায় হল আপনি যখন বিছানায় শুতে যাবেন তখন হাতে মোবাইল নেওয়া যাবে না। কারণ বর্তমানে ছেলেমেয়েরা রাতের বেলা বেশি মোবাইল ব্যবহার করে থাকে অনেকে রাত দুইটা তিনটা এমনকি চারটা পর্যন্ত মোবাইল ব্যবহার করে থাকে এতে করে তাদের মোবাইলের আসক্তি অনেক বেড়ে যায়। সেজন্য ঘুমাতে যাওয়ার আগে মোবাইল হাতের থেকে দূরে রাখবেন। 

বিরক্তিকর পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুনঃ মোবাইল আসক্তি কমানোর জন্য বিরক্তিকর পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন যে পাসওয়ার্ড বারবার খুলতে গেলে অনেক বিরক্ত লাগবে। এমন পাসওয়ার্ড যদি আপনি ব্যবহার করেন তাহলে আপনি পাসওয়ার্ড খুলতে গিয়ে বিরক্ত হবেন এবং মোবাইলের আসক্তি অনেকটা কম হবে। যদিও এটা করা অনেক কঠিন একটি কাজ তবুও চেষ্টা করবেন। 

দৈনন্দিন কোন কাজ করুনঃ বর্তমানে যারা বেকার বসে থাকে কোন কাজ কাম করে না তারা বেশি মোবাইলের প্রতি আসক্ত। সেজন্য মোবাইলের আসক্তি কমাতে চাইলে সব সময় শুয়ে বসে না থেকে দৈনন্দিন জীবনে যেগুলো কাজ রয়েছে সেগুলো কাজ করার চেষ্টা করুন। তাহলে মোবাইলের আসক্তি অনেকটা কম হবে। এবং কাজ করার ফলে আপনার শরীর ও মন ভালো থাকবে। 

মোবাইল আসক্তির কুফল

মোবাইল আসক্তির কুফল অনেক বেশি যা আমাদের জন্য অনেক ক্ষতিকর। কিন্তু আমরা হয়তো না জেনেই অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করে থাকি। সে জন্য যারা অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করে তাদের জানা প্রয়োজন মোবাইল আসক্তির কুফল সম্পর্কে। অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করলে কি ক্ষতি হতে পারে সেগুলো সম্পর্কে। তাহলে জেনে রাখুন মোবাইল আসক্তির কুফল গুলো সম্পর্কে। 

১। অতিরিক্ত মোবাইল আসক্তির কুফল হলো দৃষ্টি শক্তি কমে যাওয়া। কারণ আপনি যখন অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করবেন তখন মোবাইলের স্কিনের যেই আলো রয়েছে সেটা আপনার চোখের ক্ষতি করে এতে করে চোখের দৃষ্টি শক্তি কমে যায়। 

২। অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করার ফলে আপনার মানসিক চাপ অনেকটা বেড়ে যাবে। কারণ আপনি সবসময় মোবাইল ব্যবহার করবেন কিন্তু আপনার যেগুলো কাজ রয়েছে সেগুলো যদি না করেন পরবর্তীতে সেগুলো নিয়ে অনেক চিন্তা করতে হবে এতে করে একটা মানসিক চাপের মধ্যে পড়ে যাবেন।

৩। মোবাইল আসক্তির কুফল এর ভেতর সবচেয়ে খারাপ একটি কুফল হলো আপনার ঘুমের সমস্যা হওয়া অর্থাৎ আপনি যদি মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে যান তাহলে আপনি রাতের বেলা তাড়াতাড়ি ঘুমাতে পারবেন না এতে করে আপনার মস্তিষ্কের সমস্যা দেখা দিবে। 

৪। মোবাইল নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যত আসক্ত হয়ে যাবেন তত আপনি হতাশায় ভুগতে শুরু করবেন কারণ। বর্তমানে ফেসবুকে এমন একটি সোশ্যাল মিডিয়া যেখানে যাদের কাজ কাম নেই তারা সব সময় বসে থাকে এবং আপনি যদি তাদের সাথে সবসময় আড্ডা দেন এবং হঠাৎ করে তারা যদি আপনার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয় তাহলে হতাশা বা ডিপ্রেশনে পড়ে যাবেন।

৫। সব সময় শুয়ে বসে মোবাইল ব্যবহার করার ফলে আপনার ব্যাক পেইন এর মত সমস্যা হতে পারে। সেজন্য মোবাইলের আসক্তি কমাতে হবে এবং সব সময় শুয়ে বসে না থেকে একটু হাঁটাচলা করতে হবে একটু ব্যায়াম করতে হবে। 

আরো পড়ুনঃ পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা - কি খেলে পাইলস ভালো হয় 

৬। মোবাইল আসক্তির কুফল এর ভেতর আরো একটি কুফল হলো শ্রবণ শক্তি কমে যাওয়া। আপনি যত বেশি মোবাইলে আসক্তি হবেন তত আপনার শ্রবণ শক্তি কমে যাবে। সেজন্য মোবাইল আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসুন। 

৭। অতিরিক্ত মোবাইল আসক্তি হলে শুক্রাণু কমে যেতে পারে এতে করে আপনি হারাতে পারেন সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা।

৮। অতিরিক্ত মোবাইলে আসক্ত হয়ে গেলে তার মেজাজ অনেক খিটখেটে হয়ে যায় এতে করে হুটহাট সবার সাথে খারাপ ব্যবহার করে ফেলেন এতে করে লোকেরা আপনাকে খারাপ বলবে। সেজন্য আপনার অবশ্যই মোবাইল আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। 

৯। আপনি যখন অতিরিক্ত মোবাইল এর প্রতি আসক্ত হয়ে যাবেন এবং বন্ধু-বান্ধবদের সাথে সবসময় চ্যাটিং করতে ব্যস্ত থাকবেন এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও দেখতে ব্যস্ত থাকবেন তখন আপনার মস্তিষ্ক সেগুলোই নিয়ে সবসময় ভাবতে থাকবে এবং আপনার অন্য কাজের চিন্তাশক্তি অনেকটা কমে যাবে। 

১০। মোবাইল আসক্তির কুফল এর ভেতর সবচেয়ে ভয়ংকর একটি কুফল হলো পর্নোগ্রাফিতে আসক্তি হয়ে যাওয়া। আর আপনি যদি পর্নোগ্রাফিতে আসক্তি হয়ে যান তাহলে কি হতে পারে তা হয়তো আর বলা লাগবে না আপনি নিজেই জানেন। সে জন্য এই সকল কুফল দিকগুলো যদি আপনার জীবনে না চান তাহলে মোবাইলের আসক্তি কমিয়ে ফেলুন। 

ইন্টারনেট আসক্তি থেকে মুক্তির উপায় 

বর্তমানে ছেলে মেয়েরা বেশিরভাগই ইন্টারনেটের প্রতি আসক্ত হয়ে গেছে। কারণ তারা ইন্টারনেটে থেকে সব সময় ভিডিও দেখে চ্যাটিং করে এবং বন্ধু-বান্ধবদের ছবিতে লাইক কমেন্ট করে থাকে।এগুলো করে হয়তো অনেক আনন্দ লাগে কিন্তু এগুলো নিজের জন্য অনেক ক্ষতির কারণ। সেজন্য ইন্টারনেট আসক্তি থেকে মুক্তির উপায় গুলো জেনে রাখুন।

ইন্টারনেট আসক্তি থেকে মুক্তির উপায় গুলো হলো যদি খুব বেশি প্রয়োজন না হয় তাহলে ইন্টারনেট গ্যাজেট যেমন মোবাইল, কম্পিউটার, ট্যাব এগুলো থেকে দূরে থাকুন বাহিরে গিয়ে প্রকৃতির মাঝে একটু ঘোরাফেরা করুন এতে করে ইন্টারনেট আসক্তি অনেকটা কমে যাবে এবং বাইরে গেলে মোবাইল বাসায় রেখে যান।

ইন্টারনেট আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার না করে গল্প বা কবিতার বই পড়ুন।অথবা ইন্টারনেট আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে ফুলের বাগান করতে পারেন এবং কোন গৃহপালিত পশু পাখি পুষতে পারেন এবং সেগুলোর সাথে সময় কাটাতে পারেন। এই কাজগুলো যদি করতে পারেন তাহলে আশা করা যায় ইন্টারনেট আসক্তি থেকে অনেকটা মুক্ত হতে পারবেন।

দিনে কত ঘন্টা মোবাইল চালানো উচিত

বর্তমানে অনেক ছেলে মেয়েরা ২৪ ঘন্টার মধ্যে বেশিরভাগ সময়ই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকে যা নিজেদের জন্য অনেক ক্ষতিকর। দিনে কত ঘন্টা মোবাইল চালানো উচিত যদি প্রশ্ন করে থাকেন তাহলে বলবো ২৪ ঘন্টার মধ্যে ২ ঘন্টা মোবাইল চালাতে পারেন। 

এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যে এক থেকে দুই ঘন্টা মোবাইল চালানো উচিত। এতে করে আপনার মোবাইলের প্রতি আসক্তি আসবে না এবং আপনার অন্য কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না যেমন কাজের ক্ষতি হবে না। এবং শারীরিক মানসিক কোন সমস্যা হবে না যদি এভাবে নিয়ম মেনে প্রত্যেকদিন মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। 

মোবাইল ফোনের সঠিক ব্যবহার

বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকি কিন্তু মোবাইল ফোনে সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে তেমন একটা কারো জানা নেই। আর মোবাইল ফোন ব্যবহারের সঠিক নিয়ম না জানার কারণে নিজের অনেক ক্ষতি করে ফেলে। যেমন মোবাইল ফোন ব্যবহার করার নিয়ম না জেনে অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে চোখের ক্ষতি হয় সেই সাথে মস্তিষ্কের ক্ষতি হয় এবং আরও অনেক ক্ষতি হয়ে থাকে। 

সেজন্য মোবাইল ফোনের সঠিক ব্যবহার হলো যদি আপনার জরুরী কোন প্রয়োজন না হয় তাহলে মোবাইল ফোন ব্যবহার না করাই ভালো। আর কোন কাজ করতে গেলে মোবাইল ফোন হাতের কাছে রাখা যাবে না। মোবাইল ফোনের আরও সঠিক ব্যবহার হল খাবার খাওয়ার সময় মোবাইল ফোন দেখা যাবে না এতে করে আপনার খাবারের প্রতি মনোযোগ থাকে না যা হতে পারে ক্ষতির কারণ।  

মোবাইল ফোনের সঠিক ব্যবহার এক কথায় বলতে গেলে খুব বেশি প্রয়োজন না হলে মোবাইল ব্যবহার না করাই ভালো। সঠিকভাবে মোবাইল ব্যবহার করুন তাহলে মোবাইলের দ্বারা আপনার কোন ক্ষতি হবে না। কিন্তু আপনি যদি এগুলো নিয়ম জানার পরেও না মানেন তাহলে মোবাইল আপনার জীবনের জন্য অনেক ভয়ঙ্কর হতে পারে। 

মোবাইল আসক্তি থেকে মুক্তির উপায় - মোবাইল আসক্তির কুফলঃ শেষ কথা 

মোবাইল আসক্তির কারণ মোবাইল আসক্তি থেকে মুক্তির উপায় মোবাইল আসক্তির কুফল ইন্টারনেট আসক্তি থেকে মুক্তির উপায় দিনে কত ঘন্টা মোবাইল চালানো উচিত এবং মোবাইল ফোনের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে আজকের আর্টিকেল আলোচনা করা হয়েছে। 

আশা করছি আপনারা এ সকল বিষয়ে ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। তারপরেও যদি এই বিষয়ে আরো কিছু জানার থাকে তাহলে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানাতে পারেন। এবং এরকম আরো বিভিন্ন রকম তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে নিয়মিত আমাদের JONOPRIYO BLOG ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন