JonopriyoblogPostAd

লবঙ্গের ২২ টি উপকারিতা ও অপকারিতা - লবঙ্গ খাওয়ার নিয়ম

লবঙ্গের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রকম ঔষধি গুণ তাই আজকে আমরা জানবো লবঙ্গ উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। লবঙ্গ আমরা সবাই চিনি কিন্তু এর কি গুনাগুন বা উপকারিতা রয়েছে তা আমরা অনেকেই জানিনা। তাহলে আজকের আর্টিকেল থেকে লবঙ্গের ২২ টি উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন।
লবঙ্গের ২২ টি উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন

লবঙ্গ সর্দি লাগা অ্যাজমা ঠান্ডা লাগা মাথাব্যথা সহ আরো বিভিন্ন সমস্যার নিরাময় করে থাকে। তবে এসব উপকারিতা পাওয়ার জন্য লবঙ্গ খাওয়ার নিয়ম জানতে হবে। তাই এই সমস্ত বিষয়ে জানতে নিচের অংশগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ যে অংশ সবার আগে পড়তে চান সেই লেখার উপর ক্লিক করুন

লবঙ্গের উপকারিতা ও অপকারিতা

লবঙ্গের অনেক উপকারিতা রয়েছে কিন্তু আমরা সেগুলো না জানার ফলে লবঙ্গ থেকে সেগুলো উপকারিতা গ্রহণ করতে পারি না। তাই আপনি যদি লবঙ্গের উপকারিতা গুলো জানেন তাহলে এটা আপনার জন্য অনেক ভালো হবে। এখানে শুধুমাত্র লবঙ্গের ২২ টি উপকারিতা দেওয়া হল নিচের অংশে অপকারিতা গুলো জানতে পারবেন। 

১। সর্দি, কাশি, ঠান্ডা লাগা, অ্যাজমা সহ আরো বিভিন্ন সমস্যা নিরাময় করতে লবঙ্গের উপকারিতা অনেক বেশি। যদি সর্দি কাশি বা ঠান্ডা লেগে থাকে তাহলে লবঙ্গ মুখে নিয়ে চিবিয়ে রসগুলো খেতে পারলে এগুলো সমস্যা তাড়াতাড়ি নিরাময় হয়ে যায়।

২। অনেকের দাঁতের মাড়ি ক্ষয় হয়ে যায় এবং দাঁত ব্যথা করে থাকে। এই দাঁতের ব্যথা তাৎক্ষণিকভাবে নিরাময় করার জন্য লবঙ্গের মধ্যে রয়েছে আন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান যা শরীরের ভিতর যাওয়া মাত্র বিক্রিয়া শুরু করে এবং মাড়ি ক্ষয় সমস্যা ও দাঁতের ব্যথা নিরাময় করে। 

৩। অনেক সময় বিভিন্ন কারণে মাথাব্যথা এবং মাথা যন্ত্রণা হয়ে থাকে আর এই মাথাব্যথা এবং মাথা যন্ত্রণা নিরাময় করার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে লবঙ্গ অনেক বেশি কাজ করে থাকে। সেজন্য মাথা ব্যাথা বা মাথা যন্ত্রণা কমাতে লবঙ্গ খেতে পারেন। 

৪। পেটের বিভিন্ন রকম সমস্যা নিরাময় করতে লবঙ্গ অনেক উপকারী যেমন পেট ফাঁপা, বদহজম হওয়া, পেটের গ্যাস এবং ক্ষুধা না লাগার সমস্যা গুলাও নিরাময় করে থাকে এই লবঙ্গ। 

৫। অনেক সময় সাইনাস ইনফেকশনের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়ে যায়। আর এই সাইনাস ইনফেকশনের প্রকোপ কমানোর জন্য লবঙ্গের মধ্যে রয়েছে ইগুয়েনাল নামক একটি উপাদান যা সাইনাস ইনফেকশন এর প্রকোপ কমিয়ে। সাইনাসের কষ্ট থেকে নিরাময় দেয়। 

আরো পড়ুনঃ কাতিলা গাম এর ১০ টি উপকারিতা - কাতিলা গাম খাওয়ার নিয়ম

৬। লবঙ্গ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য বেশ উপকারী কারণ এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রকম ঔষধি গুনাগুন ডায়াবেটিস রোগীদের প্রয়োজনীয় ইনসুলিন সঠিকভাবে তৈরি হতে পারে না কিন্তু লবঙ্গ খাওয়ার ফলে প্রয়োজনীয় ইনসুলিন সঠিকভাবে তৈরি হতে পারে এতে করে রক্তে সুগারের মাত্রা কম হয় এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। 

৭। লবঙ্গ আর্থাইটিসের যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করে এর মধ্যে উপস্থিত থাকা আন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান আর্থাইটিসের প্রকোপ বা যন্ত্রণা কমানোর জন্য উপকারী। তাই যাদের এই সমস্যা রয়েছে তারা লবঙ্গ খেতে পারেন। 

৮। যাদের বিভিন্ন রকম মুখের রোগ এবং মুখের দুর্গন্ধ রয়েছে তাদের এ সকল মুখের রোগ এবং মুখের দুর্গন্ধ ভালো করার জন্য লবঙ্গ অনেক উপকারী। আপনার যদি মুখে দুর্গন্ধ থাকে তাহলে লবঙ্গ খেতে পারেন এটা মুখের দুর্গন্ধ ভালো করতে তাড়াতাড়ি কাজ করে। 

৯। যাদের খাবার খাওয়ার পরে খাবারগুলো ভালোভাবে হজম হতে চায় না তাদের জন্য লবঙ্গ অনেক উপকারী। যদি খাবার খাওয়ার পরে দেখেন খাবার ঠিকমতো হজম হচ্ছে না তাহলে লবঙ্গ চিবিয়ে সেগুলোর রস খাবেন তাহলে দেখবেন খাবার হজম হওয়ার সমস্যা নিরাময় হয়ে গেছে। 

১০। যাদের মুখে প্রায় প্রায় ব্রণ উঠে থাকে তাদের জন্য লবঙ্গ আরেকটি উপকারী উপাদান। যদি মুখে ব্রণ উঠে তাহলে লবঙ্গের পেস্ট তৈরি করে নিবেন এবং ব্রণের উপর লাগাবেন তাহলে ব্রণ ভালো হয়ে যাবে এছাড়াও লবঙ্গ খেলে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। 

১১। লবঙ্গের মধ্যে রয়েছে অনেক উপকারী উপাদান যা পুরুষ এবং মহিলাদের যৌন শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য অনেক উপকারী। কারণ লবঙ্গ খাওয়ার ফলে মানসিক অবসাদ অতিরিক্ত ক্লান্তি দূর হয়ে যায় এতে করে যৌন চাহিদা এবং যৌন শক্তি বৃদ্ধি পেয়ে যায়।

১২। শরীরে থাকা বিভিন্ন রকম ক্ষতিকর উপাদান রক্ত পরিশোধন করতে বাধা দিয়ে থাকে কিন্তু আপনি যদি লবঙ্গ খান তাহলে সেগুলো ক্ষতিকর উপাদান সরিয়ে রক্ত পরিশোধন করবে। এতে করে রক্ত পরিষ্কার থাকবে। 

১৩। খাবারের রুচি বৃদ্ধি করতে লবঙ্গ অনেক উপকারী। যাদের কোন খাবার খেতে ভালো লাগে না অর্থাৎ খাবার খাওয়ার রুচি নাই তারা যদি লবঙ্গ চিবিয়ে খেতে পারে অথবা লবঙ্গ চূর্ণ খেতে পারেন তাহলে এটা খাবার খাবার রুচি বৃদ্ধি করবে। যা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।

লবঙ্গের উপকারিতা ও অপকারিতা

১৪। লবঙ্গের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ যা বিভিন্ন রকম রোগ নিরাময় করে থাকে যেমন জ্বরের প্রকোপ কমাতে লবঙ্গ অনেক উপকারী। সেজন্য যদি জ্বর হয় তাহলে লবঙ্গের রস অথবা লবঙ্গ চিবিয়ে রস খেতে পারেন দেখবেন জ্বরের প্রকোপ কমে যাবে। এছাড়া আরও বিভিন্ন রকম রোগ নিরাময় করে থাকে লবঙ্গ।

১৫। শ্বাসকষ্ট এবং হাঁপানি সমস্যা ভালো করার জন্য লবঙ্গ অনেক উপকারী। যাদের শ্বাসকষ্ট এবং হাঁপানি সমস্যা রয়েছে তারা লবঙ্গ খেলে শ্বাস কষ্টের সমস্যা কমে যায়। এছাড়াও গরম পানির মধ্যে লবঙ্গ দিয়ে পানির বাষ্প গুলো নাক এবং মুখে নিলে শ্বাসকষ্ট কম হয়। 

১৬। অনেকের একটু পর পরে পানির পিপাসা লাগে। সেজন্য অতিরিক্ত পানি পিপাসা লাগা কমানোর জন্য লবঙ্গ অনেক উপকারী। যদি সকাল এবং বিকালে একটি করে লবঙ্গ চিবিয়ে খেতে পারেন তাহলে এটা অতিরিক্ত পানি পিপাসা লাগা কমিয়ে দিবে। 

১৭। লবঙ্গ বিভিন্ন রকম ক্যান্সার নিরাময় করার জন্য বা প্রতিরোধ করার জন্য অনেক উপকারী। বর্তমানে মেয়েদের বেস্ট ক্যান্সারের অনেক ঝুঁকি থাকে। সেজন্য মাঝে মাঝে লবঙ্গ খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে পারেন। 

১৮। অনেক সময় বিভিন্ন কারণে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফুলে যায়। এই শরীর ফুলে যাওয়া ভালো করার জন্য লবঙ্গ খেতে পারেন। সকাল এবং বিকালে একটি করে লবঙ্গ মুখে দিয়ে চিবিয়ে রস গুলো খেয়ে নিবেন। 

১৯। লবঙ্গের মধ্যে থাকা ফেনোলিক কমপাউন্ড ইউজিনল ও ইউজিনল ডেরিভাটিভস শরীরে প্রবেশ করে হাড়ের ঘনত্বের উন্নতি ঘটায়। এতে করে হাড় মজবুত থাকে এছাড়াও মিনারেলের অভাব পূরণ হওয়ার কারণে হাড়ের বিভিন্ন রকম সমস্যা ভালো হয়ে যায়। 

আরো পড়ুনঃ তালমাখনা খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা - তালমাখনা খাওয়ার অপকারিতা

২০। লিভারের কার্য ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য লবঙ্গ অনেক উপকারী। লবঙ্গের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের মধ্যে প্রবেশ করে শরীরের মধ্যে থাকা ক্ষতিকর টক্সিন বের করে দেয় এরকম লিভারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায় সাথে সাথে শরীরে আরো বিভিন্ন অঙ্গের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। 

২১। অনেকের যাত্রা করার সময় বমি বমি ভাব বা বমি হয়ে থাকে। সেজন্য আপনার যদি এই সমস্যা থেকে থাকে তাহলে গাড়িতে যাত্রা করার সময় একটি লবঙ্গ মুখে দিয়ে চিবিয়ে রস গুলো খাবেন তাহলে মাথা ঘোরার সমস্যা এবং বমি হবে না। গর্ভবতী মহিলাদের এই সমস্যা বেশি হয়ে থাকে তাই তারাও খেতে পারেন। 

২২। লবঙ্গের মধ্যে থাকা ভোলাটাইল অয়েল শরীরের ভেতর থাকা ক্ষতিকর টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। এবং শরীরের মধ্যে থাকা বিভিন্ন রকম ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংস করে থাকে। তাই লবঙ্গ খাওয়ার ফলে ত্বকের বিভিন্ন রকম সংক্রমণ ভালো হয়ে যায়। 

রাতে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা

রাতে লবঙ্গ খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে যেমন কেউ যদি ঘুমানোর আগে ১ টি করে লবঙ্গ খেতে পারে তাহলে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পেয়ে যাবে এবং বিভিন্ন রকম রোগ প্রতিরোধ করবে। রাতে লবঙ্গ খেলে যেগুলো উপকারিতা পাওয়া যাবে সেগুলো হলোঃ বদহজমের সমস্যা দূর করবে, হজম শক্তি বৃদ্ধি করবে, পেটের সমস্যা নিরাময় করবে, গলার সমস্যা নিরাময় করবে যেমন সর্দি কাশি ভালো করে। এছাড়াও যাদের যৌন সমস্যা রয়েছে তাদের যৌন সমস্যা ভালো করে যৌন শক্তি বৃদ্ধি করবে। তাই এ সকল উপকারিতা পেতে রাতের বেলায় একটি করে লবঙ্গ এবং হালকা পরিমাণ গরম পানি খাবেন। 

লবঙ্গ খাওয়ার নিয়ম

লবঙ্গ খাওয়ার নিয়ম

লবঙ্গ খাওয়ার নিয়ম অনেক সহজ প্রতিদিন সকালে একটি অথবা দুটি করে লবঙ্গ মুখের মধ্যে দিয়ে চিবিয়ে রসগুলো খেয়ে ফেলবেন। এছাড়াও লবঙ্গের গুঁড়া তৈরি করে সেগুলো খেতে পারেন। লবঙ্গ সকাল বিকাল এবং রাতের বেলাও খেতে পারবেন। এই নিয়মে লবঙ্গ খাবেন তাহলে ভালো উপকারিতা পাবেন। তবে উপকারিতা রয়েছে বলে অতিরিক্ত বেশি পরিমাণ একবারে খাবেন না।  

প্রতিদিন কয়টি লবঙ্গ খাওয়া উচিত

লবঙ্গের এত উপকারিতা জানার পরে অনেকের প্রশ্ন থাকে প্রতিদিন কয়টি করে লবঙ্গ খাওয়া উচিত? যদি লবঙ্গ থেকে ভালো উপকারিতা পেতে চান তাহলে প্রতিদিন ২ টি করে লবঙ্গ খাওয়া উচিত। যদি প্রতিদিন ২ টি করে লবঙ্গ খেতে পারেন তাহলে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। 

আরো পড়ুনঃ তোকমা দানার ১০ টি উপকারিতা - তোকমা খাওয়ার অপকারিতা

এবং বিভিন্ন রোগ খুব সহজেই নিরাময় করতে পারবেন। তাই প্রতিদিন সকালবেলা ২ টি করে লবঙ্গ খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করবেন। তবে অনেকেই লবঙ্গ খেতে পারে না সেজন্য আপনি যদি দুইটি খেতে না পারেন তাহলে একটি খাবেন তাহলেও ভালো উপকারিতা পাবেন। 

লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে কি হয়

লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে বিভিন্ন রকম উপকারিতা পাওয়া যায় যেমনঃ রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে, সর্দি কাশি ভালো করে, ঠান্ডা লাগা ভালো করে, অ্যাজমার সমস্যা থাকলে তা নিরাময় করে, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে শ্বাসকষ্ট হাঁপানি এগুলো সমস্যা ছাড়াও আরো বিভিন্ন রকম সমস্যা এবং রোগ ভালো হয়ে থাকে। তবে অনেকে লবঙ্গ চিবিয়ে খেতে পারবে না সেজন্য লবঙ্গের গুঁড়া তৈরি করে খেতে পারেন। 

খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা

লবঙ্গের অনেক উপকারিতা রয়েছে কিন্তু আপনি যদি খালি পেটে লবঙ্গ খান তাহলে আরো অনেক উপকারিতা পাবেন। খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা গুলো হলোঃ 

  • রক্তের সুগারের পরিমাণ কম রাখে
  • লিভার ভালো রাখে
  • হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
  • শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
  • মাথা যন্ত্রণা মাথা ব্যথা সহ বিভিন্ন রকম ব্যথা নিরাময় করে
  • হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
  • মুখ ও মাড়ির স্বাস্থ্য ভালো রাখে

এছাড়াও খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে। তাই যারা খালি পেটে লবঙ্গ খেতে পারবেন তারা খাবেন তাহলে এই সকল উপকারিতা গুলো পাবেন ইনশাআল্লাহ। 

লবঙ্গের ক্ষতিকর দিক

প্রত্যেক জিনিসের উপকারী এবং অপকারী দিক রয়েছে তেমনি লবঙ্গের এত উপকারিতা থাকার পরেও এর কিছু অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিক রয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক লবঙ্গের ক্ষতিকর দিক বা অপকারিতা গুলোঃ 

  • তাদের এলার্জি সমস্যা রয়েছে তাদের লবঙ্গ থেকে এলার্জি সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে তাই যদি দেখেন আপনার লবঙ্গ থেকে এলার্জি হচ্ছে তাহলে লবঙ্গ এড়িয়ে চলুন।
  • অতিরিক্ত পরিমাণ লবঙ্গ খাওয়ার ফলে রক্তের ঘনত্ব কমে গিয়ে রক্ত পাতলা হয়ে যেতে পারে।
  • যদি আপনার রক্তে শর্করার করি পরিমাণ কম থাকে তাহলে লবঙ্গ খাবেন না এতে করে রক্ত শর্করার পরিমাণ আরো কমে যাবে।
  • লবঙ্গ মাথা ঘোরা এবং বমি ভাব দূর করতে সাহায্য করে কিন্তু অতিরিক্ত খাবার ফলে মাথা ঘোরা এবং বমি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • লবঙ্গ ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা নিরাময় করতে সাহায্য করে কিন্তু ত্বকে ব্যবহার করার পরে যদি জ্বালাপোড়া করে বা লাল হয়ে যায় তাহলে লবঙ্গ ব্যবহার করবেন না।
  • অতিরিক্ত লবঙ্গ খাওয়ার কারণে গর্ভবতী মহিলা ও দুগ্ধ দানকারী মহিলার বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। 

আশা করছি লবঙ্গের লবঙ্গের ২২ টি উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পেরে গেলেন। 

লবঙ্গ উপকারিতা ও অপকারিতাঃ শেষ কথা 

প্রিয় বন্ধুরা আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন লবঙ্গ উপকারিতা ও অপকারিতা লবঙ্গ খাওয়ার নিয়ম প্রতিদিন কয়টি লবঙ্গ খাওয়া উচিত লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে কি হয় খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা এবং লবঙ্গের ক্ষতিকর দিক গুলো কি কি এই সকল বিষয়ে। 

এই সকল বিষয় জানতে পেরে আশা করছি আপনারা কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন। তাই আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের কেমন লেগেছে তা কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানাতে পারেন এবং এ বিষয়ে যদি আপনার আরো কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানান। এবং এরকম আরো বিভিন্ন বিষয়ে জানতে আমাদের JONOPRIYO BLOG ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন