JonopriyoblogPostAd

আমলকি খাওয়ার ২১ টি উপকারিতা - আমলকি খাওয়ার অপকারিতা

আমলকি খাওয়ার ২১ টি উপকারিতা সম্পর্কে আজকে আপনাদের জানাবো। আমরা বিভিন্ন ঔষধ খাওয়ার মাধ্যমে ভিটামিন বৃদ্ধি করতে চাই কিন্তু আপনি চাইলে ঔষধ না খেয়ে আমলকি খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের ভিটামিন বৃদ্ধি করতে পারেন কারণ আমলকি খাওয়ার ২১ টি উপকারিতা রয়েছে। এগুলো আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক আমলকি খাওয়ার ২১ টি উপকারিতা গুলো সম্পর্কে।
আমলকি খাওয়ার ২১ টি উপকারিতা

আমলকি খাওয়ার ২১ টি উপকারিতা আমলকি খাওয়ার অপকারিতা আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা এই সকল বিষয় সহ এই সম্পর্কিত আরো কিছু বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জানার জন্য পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ে ফেলুন।

পেজ সূচিপত্রঃ আমলকি খাওয়ার ২১ টি উপকারিতা - আমলকি খাওয়ার অপকারিতা  

আমলকি খাওয়ার ২১ টি উপকারিতা - কাঁচা আমলকি খাওয়ার উপকারিতা 

১। আমাদের অনেকের হজম শক্তি কম থাকে সেজন্য যেকোন খাবার খাওয়ার পরে সেটা তাড়াতাড়ি হজম হতে চাই না সেজন্য আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে আমলকি অনেক উপকারী। নিয়মিত নিয়ম মেনে পরিমান মত আমলকি খেতে পারলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। 

২। চুলের বিভিন্ন রকম সমস্যা দূর করতে আমলকি অনেক উপকারী। যেমন চুলের গোড়া মজবুত করতে চুল কালো করতে আমলকির তেল ব্যবহার করতে পারেন এবং আমলকি চুল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই যাদের চুলের সমস্যা রয়েছে তারা এই আমলকি ব্যবহার করতে পারেন চুলের জন্য।

৩। আমলকির মধ্যে রয়েছে আয়রন যা আমাদের রক্ত সল্পতা দূর করতে সাহায্য করে এবং রক্ত বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আপনি যদি নিয়মিত আমলকি খান তাহলে রক্তশূন্যতা দূর হবে এবং রক্ত পরিষ্কার হবে লোহিত রক্ত কণিকা বৃদ্ধি পাবে। 

৪। আমাদের অনেকেরই অল্প বয়সে চুল পেকে যায় এবং চুলের মধ্যে খুশকি হয়ে থাকে সেজন্য চুল পাকা রোধ করতে এবং চুলের খুশকি দূর করার জন্য আমলকি ব্যবহার করতে পারেন। 

৫। চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য আমলকি অনেক উপকারী। আপনি যদি নিয়মিত আমলকি খেতে পারেন পরিমাণ মতো তাহলে চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং চোখের আরো যেগুলো সমস্যা রয়েছে সেগুলো সমাধান হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। 

৬। অনেকের মুখের মধ্যে বিভিন্ন রকম কালচে দাগ দেখা যাই সেই কালচে দাগ দূর করার জন্য আপনি যদি আমলকির রস তৈরি করে সেগুলো তুলার মাধ্যমে মুখের দাগের মধ্যে লাগাতে পারেন তাহলে মুখের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে এবং মুখের ত্বক অনেক উজ্জ্বল হবে। 

৭। আমাদের শরীরে যখন টক্সিন এর পরিমাণ বেড়ে যায় তখন লিভারের সমস্যা হয়। আর এই আমলকি শরীর থেকে টক্সিন এর পরিমাণ বের করে দেয় এবং লিভার ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাই লিভার ভালো রাখতে নিয়মিত নিয়ম মেনে আমলকি খান। 

আরো পড়ুনঃ টমেটো খাওয়ার ১২ টি উপকারিতা - টমেটো খাওয়ার অপকারিতা

৮। আমাদের শরীরে যখন খারাপ কোলেস্টরেলের পরিমাণ বেড়ে যায় তখন বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। আর এই কোলেস্টেরল কমানোর জন্য আমলকি খাওয়া উপকারিতা অনেক বেশি। তাই কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে সুস্থ থাকতে চাইলে নিয়মিত আমলকি খাবেন।

৯। আমলকির মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তাই আপনি যদি নিয়মিত আমলকি খান তাহলে আপনার ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অনেকটা কম থাকবে। সেজন্য নিয়মিত পরিমাণ মতো আমলকি খান ইনশাআল্লাহ ক্যান্সার হবে না।

১০। আমলকি খাওয়ার ২১ টি উপকারিতার ভেতর আরেকটি কার্যকরী উপকারিতা হলো ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। নিয়মিত যদি আমলকি খেতে পারেন অথবা আমলকির রস খেতে পারেন তাহলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। 

১১। গ্যাস্ট্রিক অথবা এসিডিটির সমস্যা থাকলে আমলকি খেতে পারেন তাহলে গ্যাস এবং এসিডিটি ভালো হয়ে যাবে। দুধ পানি এবং তার সাথে যদি আমলকির রস মিশিয়ে প্রতিদিন দুইবার করে খেতে পারেন তাহলে এসিডিটি এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। 

১২। আমলকি খাওয়ার ২১ টি উপকারিতার ভেতর আরো একটি উপকারিতা হলো সর্দি কাশি জ্বর ভালো করতে সাহায্য করে। আমলকির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি সেজন্য এটি যে কোন রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে জ্বর সর্দি কাশি ভালো করতে সাহায্য করে।

১৩। আমলকি খাওয়ার ২১ টি উপকারিতার ভেতর আরেকটি উপকারিতা হলো দাঁত এবং দাঁতের মাড়ি মজবুত রাখতে সাহায্য করে এছাড়াও মুখের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য আমলকি অনেক উপকারী। তাই নিয়ম মেনে প্রতিদিন আমলকি খাওয়ার চেষ্টা করবেন। 

১৪। আমাদের অনেক সময় বিভিন্ন কারণে অর্থাৎ অনেক সময় অসুখের কারণে মুখের রুচি কমে যায় সেজন্য আপনি মুখের রুচি বৃদ্ধি করার জন্য আমলকি খেতে পারেন। আমলকি যেহেতু টক জাতীয় ফল এবং ভিটামিন সি জাতীয় সেজন্য এটি মুখে রুচি বৃদ্ধি করতে অনেক ভালো কাজ করে। 

১৫। ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য আমলকি অনেক উপকারী। নিয়মিত আমলকি পরিমাণ মতো খেলে মুখের কালো দাগ মেছতার দাগ এবং ব্রনের দাগ সহ যত ধরনের সমস্যা রয়েছে সবকিছু ভালো হয়ে যায় এবং মুখের ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। তাই ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে নিয়মিত আমলকি খেতে পারে না। 

১৬। আমলকি খাওয়ার ২১ টি উপকারিতার ভেতর আরেকটি সেরা উপকারিতা হলো রক্তে ব্লাড সুগারের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। আমাদের রক্তে যখন ব্লাড সুগারের পরিমাণ বেড়ে যায় তখন ডায়াবেটিস সহ বিভিন্ন রকম রোগে আক্রমণ করে থাকে সেজন্য ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে নিয়মিত আমলকি খাবেন।  

১৭। আমলকি খাওয়ার ২১ টি উপকারিতার ভেতর আরেকটি উপকারিতা হলো পেশি শক্তি মজবুত করতে সাহায্য করে ব্রেইন ও শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে এতে করে শরীরের কার্য ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সেজন্য আপনি যেকোন কাজ করে ভালোভাবে শেষ করতে পারেন। সেজন্য এই সকল উপকারিতা পেতে নিয়মিত আমলকি খেতে পারেন।  

১৮। যাদের অ্যাজমার সমস্যা রয়েছে এবং ব্রঙ্কাইটিস এর সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য আমলকি খাওয়া অনেক উপকারী। নিয়মিত আমলকি খাওয়ার ফলে অ্যাজমার সমস্যা এবং ব্রঙ্কাইটিস এর সমস্যা কিছুটা নিরাময় করা যায়। সেজন্য আপনার যদি এরকম সমস্যা থেকে থাকে তাহলে নিয়মিত আমলকি খাবেন। 

আরো পড়ুনঃ গাজর খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা - গাজরের অপকারিতা

১৯। বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক মানুষ হার্ট অ্যাটাক করে মৃত্যুবরণ করছে আর এই হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে হার্টের সমস্যা থাকার জন্য। সেজন্য আপনি হার্ট সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত আমলকি খেতে পারেন তাহলে ইনশাআল্লাহ হার্ট সুস্থ থাকবে এবং হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। 

২০। আমলকি খাওয়ার ২১ টি উপকারিতার মধ্যে আরো উপকারিতা হলো মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং শরীর সুস্থ রাখে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। সেজন্য এই সকল উপকারিতা পেতে নিয়মিত আমলকি খাবেন। 

২১। শরীরে যখন অতিরিক্ত ফ্যাট বৃদ্ধি পেয়ে যায় তখন বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয় এবং মানুষ মোটা হয়ে যায় তাই আপনি যদি শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট কমিয়ে চিকন হতে চান এবং স্মার্ট হতে চান তাহলে নিয়মিত পরিমান মত আমলকি খাবেন ইনশাআল্লাহ শরীরে ফ্যাটের পরিমাণ কমে যাবে এবং আপনি চিকন হতে পারবেন। এই ছিল আমলকি খাওয়ার ২১ টি উপকারিতা। 

আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা - আমলকি খাওয়ার সঠিক সময়

আমলকি খাওয়ার নিয়ম বিভিন্ন জন বিভিন্ন রকম ভাবে বলে থাকে তবে এখন আপনারা এখান থেকে জেনে নিন আমলকি খাওয়ার নিয়ম প্রথমে দুই একটি আমলকি নিবেন এবং সেগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে ছোটকুচি করে কাটবেন কাটার পরে সেগুলো হালকা পরিমাণ গরম পানির মধ্যে দিয়ে সেই গরম পানি যখন ঠান্ডা হয়ে যাবে তখন খাবেন এবং ওই আমলকির কুচি গুলো খেয়ে নিবেন।

গুগল নিউজে আমাদের ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন তারপরে ফলো করুন 

অথবা আপনি চাইলে আরেকটি উপায়ে খেতে পারেন আমলকি প্রথমে কেটে নেবেন কেটে নেয়ার পরে হালকা পরিমাণ লবণ এবং লঙ্কা মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে ভালো উপকারিতা পাবেন। তাই আপনি যদি আমলকি খেয়ে উপকারিতা পেতে চান তাহলে এই নিয়মগুলো মেনে আমলকি খাবেন। আমলকি খাওয়ার সঠিক সময় হল সকাল বেলা। অথবা আপনি চাইলে যে কোন সময় খেতে পারেন এতে করে কোন ক্ষতি হবে না আপনি যেভাবেই আমলকি খান না কেন যদি পরিমাণ মত খান তাহলে কোন ক্ষতি হবে না।  

আমলকিতে কোন এসিড থাকে

আমলকি খাওয়ার ২১ টি উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন নিচে আপনারা জানতে পারবেন আমলকি খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে কিন্তু তার আগে অনেকে জানতে চেয়ে থাকেন আমলকিতে কোন এসিড থাকে সেজন্য এখন জেনে নিন আমলকিতে কোন এসিড থাকে। আমলকিতে থাকে এস্করবিক এসিড। 

প্রতিদিন কয়টা আমলকি খাওয়া উচিত 

আমলকি খাওয়ার অনেক উপকারিতা থাকলেও আমলকি খাওয়ার অপকারিতা রয়েছে সেজন্য যদি বেশি পরিমাণ আমলকি খান তাহলে এটা উপকারের চেয়ে বেশি ক্ষতি করবে। তাই প্রতিদিন ১ থেকে ২ টি আমলকি খাওয়া উচিত। এতে করে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না এবং বেশি উপকারিতা পাওয়া যায়। তাই বেশি পরিমাণ আমলকি একসাথে না খেয়ে নিয়ম মেনে প্রতিদিন ১ টা ২ টা আমলকি খাবেন। 

চুলের জন্য আমলকির উপকারিতা 

চুলের জন্য আমলকির উপকারিতা অনেক বেশি আপনি যদি আমলকি নিয়মিত পরিমান মত খান তাহলে এতে করে চুলের বিভিন্ন রকম উপকারিতা হবে যেমন চুল পড়া প্রতিরোধ করবে, চুলের গোড়া শক্ত করতে সাহায্য করে, চুল মজবুত করে, চুল পাকা প্রতিরোধ করে, চুল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এছাড়াও চুল সুন্দর রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করে। 

আরো পড়ুনঃ শসা খাওয়ার ১৫টি উপকারিতা - শসা খাওয়ার অপকারিতা

তাই এ সকল উপকারিতা পেতে চুলে আমলকির তেল ব্যবহার করতে পারেন অথবা আমলকির হেয়ার প্যাক তৈরি করে সেগুলো চুলে ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে চুলের যে কোন সমস্যা দূর হয়ে যাবে এবং চুল থাকবে অনেক সুন্দর ও আকর্ষণীয়। আমলকির হেয়ার প্যাক কিভাবে তৈরি করে সেই সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। 

আমলকির বিচির উপকারিতা 

আমলকির উপকারিতার পাশাপাশি আমলকির বিচির উপকারিতা অনেক রয়েছে যেমন আমলকির বিচি শরীরের বা নাকের রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে সাহায্য করে, গলা ব্যথা সর্দি কাশি জ্বর সহ বিভিন্ন রকম রোগের জন্য আমলকির বিচি অনেক উপকারী। এছাড়া আমাদের ত্বকের উপকারের জন্য আমলকির বিচি অনেক কাজে লাগে। তাই আমলকির বিচি থেকে এই সকল উপকারিতা পেতে ব্যবহার করতে পারেন আমলকির বীজ।  

আমলকি তেলের উপকারিতা 

চুলের জন্য আমলকি তেলের উপকারিতা অনেক বেশি। অনেকেরই অল্প বয়সে চুলের বিভিন্ন রকম সমস্যা হয়ে থাকে কিন্তু আপনি যদি আমলকি তেল ব্যবহার করতে পারেন তাহলে এগুলো সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। আমলকি তেলের উপকারিতা গুলো হলো 

  • আমলকির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি সেজন্য আমলকির তেল ব্যবহার করলে ছোট চুল বৃদ্ধি পাবে দ্রুত।
  • কম বয়সে চুল পাকা প্রতিরোধ করে আমলকি তেল।
  • চুলের গোড়া মজবুত করার জন্য আমলকি তেল অনেক উপকারী।
  • চুল ঝরে যাওয়া বা পড়ে যাওয়া প্রতিরোধ করার জন্য আমলকির তেল অনেক উপকারী।
  • চুলের মধ্যে থাকা খুশকি দূর করার জন্য আমলকি তেল অনেক উপকারী।
  • চুলের আগা যদি ফেটে যায় এবং চুল ভেঙে যায় তাহলে এগুলো সমস্যার সমাধান করতে আমলকি তেল ব্যবহার করতে পারেন তাহলে এ সকল সমস্যার জন্য ভালো উপকারিতা পাবেন

আমলকি খাওয়ার অপকারিতা - আমলকির ক্ষতিকর দিক

আমলকি খাওয়ার এত উপকারিতা সম্পর্কে জানলেন কিন্তু আমলকি খাওয়ার অপকারিতা কিছু রয়েছে। আর কথায় রয়েছে যে জিনিসের উপকারিতা রয়েছে সে জিনিসের অপকারিতাও রয়েছে সেজন্য আমলকির যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি আমলকি খাওয়ার অপকারিতাও রয়েছে। জেনে রাখুন আমলকি খাওয়ার অপকারিতা গুলো বা আমলকির ক্ষতিকর দিক গুলো কি কি?

  • যাদের উচ্চ রক্তচাপের মত সমস্যা রয়েছে তারা বেশি পরিমাণ আমলকি খাবেন না তাহলে এতে করে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • যদি আপনার শরীরে কোথাও অপারেশন হয়ে থাকে তাহলে সেই সময় আমলকি খাবেন না কারণ সে সময় আমলকি খেলে রক্তপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • আমলকির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি তাই আপনি যদি বেশি পরিমাণ আমলকি নিয়মিত খেতে থাকেন তাহলে আপনার প্রসাবে জ্বালাপোড়া হতে পারে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য ভালো করার জন্য আমলকি অনেক উপকারী কিন্তু অতিরিক্ত খাবার ফলে শরীরে ফাইবারের পরিমাণ অতিরিক্ত বেড়ে গেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই কখনোই অতিরিক্ত পরিমাণ আমলকি খাবেন না।
  • আমলকি খাওয়ার অপকারিতার ভেতর আরেকটি অপকারিতা হলো অতিরিক্ত আমলকি খাওয়ার ফলে এসিডের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে শরীরে এতে করে বিভিন্ন রকম ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এই ছিল আমলকি খাওয়ার অপকারিতা। একটা কথা মনে রাখবেন কোন জিনিসই অতিরিক্ত ভালো নই তাই আপনি যদি আমলকি থেকে উপকারীতা পেতে চান তাহলে পরিমাণ মতো খাবেন অতিরিক্ত পরিমাণ খাবেন না তাহলে ইনশাআল্লাহ কোনো ক্ষতি হবে না। 

আমলকি সম্পর্কিত প্রায়শই জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর 

প্রশ্ন: আমলকিতে কি কি ভিটামিন আছে?

উত্তর: আমলকিতে রয়েছে ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, রিবোফ্লাভিন, থায়ামিন সহ আরো অনেক ভিটামিন।

প্রশ্ন: আমলকি খাওয়ার উপকারিতা কি কি?

উত্তর: আমলকি খাওয়ার উপকারিতা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, সর্দি কাশি ভালো করতে সাহায্য করে, চুল মজবুত রাখতে সাহায্য করে, হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে, ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে, ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে এছাড়া আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে আমলকির। 

প্রশ্ন: আমলকি কখন পাওয়া যায়?

উত্তর: আমলকি বেশি পাওয়া যায় আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত অর্থাৎ শীতকালে আমলকি বেশি পাওয়া যায়।

প্রশ্ন: আমলকি কাদের খাওয়া উচিত নয়?

উত্তর: যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে এবং উচ্চ রক্তচাপের মত সমস্যা রয়েছে তাদের আমলকি খাওয়া উচিত নয়। এতে করে এইগুলো সমস্যা বেশি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

প্রশ্ন: আমলকির রস খেলে কি হয়?

উত্তর: আমলকির রস খেলে যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পাইলসের সমস্যা রয়েছে তাদের এই সকল সমস্যার ভালো হয়ে যায়। তাই এই সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে নিয়মিত আমলকির রস খেতে পারেন। 

প্রশ্ন: আমলকিতে কোন এসিড থাকে?

উত্তর: আমলকিতে এস্করবিক এসিড থাকে। এছাড়াও আমলকিতে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। 

আমলকি খাওয়ার ২১ টি উপকারিতা - আমলকি খাওয়ার অপকারিতা: শেষ কথা 

আমলকি খাওয়ার ২১ টি উপকারিতা আমলকি খাওয়ার অপকারিতা আমলকিতে কোন এসিড থাকে প্রতিদিন কয়টা আমলকি খাওয়া উচিত আমলকির বিচির উপকারিতা আমলকি তেলের উপকারিতা কি এই সকল বিষয়ে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে আশা করছি আপনারা এই সকল বিষয়ে ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। 

তারপরেও যদি এই বিষয়ে আরো কিছু জানার থাকে তাহলে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন।এবং এরকম আরো তথ্যমূলক আর্টিকেল পড়তে আমাদের JONOPRIYO BLOG ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।   

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন